Summary
আমিষ (Protein)
আমিষ হলো অ্যামাইনো এসিডের একটি জটিল যৌগ যা শরীরে পরিপাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শোষণযোগ্য অ্যামাইনো এসিডে পরিণত হয়। ২২ প্রকার অ্যামাইনো এসিডের মধ্যে কিছু অভ্যন্তরে তৈরি না হয়ে প্রোটিন তৈরির জন্য অপরিহার্য, যাদের বলা হয় অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড।
অ্যামাইনো এসিডের প্রকার:
- অনাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড
- আবশ্যকীয় (Essential) অ্যামাইনো এসিড: ১০টি - ভ্যালিন, লিউসিন, আইসো লিউসিন, ফনাইল এলানিন, লাইসিন, থ্রিয়েনিন, মিথিয়োনিন, ট্রিপটোফেন, আরজিনিন ও হিসটিডিন।
আমিষ জাতীয় খাদ্যের মধ্যে রয়েছে: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য, শিম ও বিভিন্ন প্রকার ডাল। খেসারি ডালে BOAA নামে অ্যামাইনো এসিড রয়েছে, যা 'ল্যাথারাইজম' রোগের কারণ।
আমিষ মানব দেহের প্রধান গঠন উপাদান, যা কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং সালফার দ্বারা গঠিত এবং এতে ১৬% নাইট্রোজেন রয়েছে। আমিষের অভাবে শিশুদের কোয়াশিয়রকর ও মেরাসমাস রোগ হয় এবং বয়ষ্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
রোগ সমূহ:
- কোয়াশিয়রকর: শিশুদের খাওয়ার অরুচি, পেশী দুর্বলতা, চামড়ার সমস্যা, ডায়রিয়া ও পেট বড় হয়। মারাত্মক হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা।
- মেরাসমাস: আমিষ ও ক্যালোরি উভয়ের অভাবে, শরীর ক্ষীণ হয়ে অস্থিচর্মসার হয় এবং ওজন হ্রাস পায়।
আমিষ (Protein)
আমিষ হলো অ্যামাইনো এসিডের একটি জটিল যৌগ। পরিপাক প্রক্রিয়া দ্বরা এটি দেহে শোষণ উপযোগী অ্যামাইনো এসিডে পরিণত হয়। এ পর্যন্ত প্রকৃতিজাত দ্রব্যে ২২ প্রকার অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে। যে সকল অ্যামাইনো এসিড দেহের অভ্যন্তরে তৈরি হয় না কিন্ত বিভিন্ন প্রোটিন তৈরির জন্য অপরিহার্য, তাদের অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড বলে। অ্যামাইনো এসিড দুই প্রকার। যথা: অনাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড। এবং আবশ্যকীয় (Essential) অ্যামাইনো এসিডের সংখ্যা দশটি। যথা- ভ্যালিন, লিউসিন, আইসো লিউসিন, ফনাইল এলানিন,লাইসিন, থ্রিয়েনিন, মিথিয়োনিন, ট্রিপটোফেন, আরজিনিন ও হিসটিডিন। মাছ, মাংস, ডিম (ডিমের সাদা অংশ এলবুমিন নামক প্রোটিন থাকে), দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য (ছানা, পনির ইত্যাদি), শিম, বরবটির বীজ, বিভিন্ন প্রকার ডাল আমিষ জাতীয় খাদ্য। খেসারি ডালে BOAA নামক এক ধরনের অ্যামাইনো এসিড থাকে যা ‘ল্যাথারাইজম’ রোগের জন্য দায়ী।
আমিষ আমাদের দেহের প্রধান গঠন উপাদান। আমিষ কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং সালফারের সমম্বয়ে গঠিত। আমিষে ১৬% নাইট্রোজেন থাকে। Natural Protein-এর কোড নাম Protein P-49। কোলাজেন এক ধরনের প্রোটিন। দেহে রোগ প্রতিরোধকারী এন্টিবডি আমিষ থেকে তৈরি হয়। আমিষের অভাবে শিশুদের কোয়াশিয়রকর এবং মেরাসমাস রোগ হয়। আমিষের অভাবে বয়ষ্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
কোয়াশিয়রকর: শিশুদের খাওয়ার অরুচি হয়। পেশী শীর্ণ ও দুর্বল হতে থাকে, চামড়া, চুলের মসৃণতা ও রং নষ্ট হয়। ডায়রিয়া রোগ হয় এবং শরীরে পানি আসে। পেট বড় হয়। রোগ মারাত্মক হলে শিশু মৃত্যুও হতে পারে।
মেরাসমাস: আমিষ এবং ক্যালরি উভয়ের অভাব ঘটে, ফলে দেহের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় শরীর ক্ষীণ হয়ে অস্থিচর্মসার হয়ে যায়। চামড়া খসখসে হয়ে ঝুলে পড়ে। শরীরের ওজন হ্রাস পায়।